ভালো দাম ও বেশি লাভের আশায় দিনাজপুর সদর, খানসামা, ফুলবাড়ী, কাহারোল, বীরগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠে অনেক কৃষক আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোন কোন স্থানে কৃষক আগাম জাতের আলু রোপন করেছেন। আবার কেউ ধান কাটার পর আলু রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। আবার অনেকে নতুন আলু বাজারে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভালো দাম পাবার আশায়।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের ধান কেটে গ্রানুলা, স্টোরিজ, সেভেন জাতের আলুসহ মাঠের পর মাঠ বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করছেন।
মাঠে দেখা গেছে, দ্বিগুণ লাভের আশায় মাঠে মাঠে চলছে জমি প্রস্তুত ও আলু রোপণের কাজ। অনেকে জমি তৈরি,আগাছা পরিষ্কার ও বীজ সংগ্রহ করছেন আলু চাষীরা। অনেক চাষী ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত কৃষকেরা জমিতে আলু রোপন করছেন।
আলু চাষিরা নিজেরাই প্রতিবছর বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। অনেকে আবার বাজার থেকে বীজ কিনে রোপণ করেন। তুলনামূলক উঁচু জমিগুলোতে আলু চাষ শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত মুনাফার আশায় অনেকে তাদের জমিতে আলু চাষ শুরু করেন।
কাহারোলের কাজী কাঠনা গ্রামের কৃষক আহসান আলী ও শাহাজাহান আলীর জমিতে কৃষাণ নিয়ে আলু রোপন করছেন।
একই গ্রামের কৃষক শহিদুল জানান, ৫০শতক জমিতে আগাম জাতের আলু লাগাচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এবার আলু বীজের দাম বেশি। বর্তমানে বিভিন্ন আড়তে ৬০টাকা থেকে ৭০টাকা কেজি দরে প্রতি কেজি বীজ বিক্রি হচ্ছে। আগাম জাতের আলু আবাদ করে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখবেন বলে আশাঁ করছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়,উচুমাটি আগাম আলু চাষের জন্য খুব উপযোগী।আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠের পর মাঠ আগাম আলু চাষে কাজ করছেন কৃষক। আগাম জাতের আলু চাষে কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী শেহান বীশ বলেন, আগাম জাতের আলু চাষ করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। বর্তমানে আবাহাওয়া অনুকুলে রয়েছে।আলু চাষে চাষিদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫০হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
বিডি প্রতিদিন/এএম