নারায়ণগঞ্জে এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাশের হারের দিক দিয়ে কলেজের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। কলেজে পাশের হার শতকরা ৭৬.৯৪ শতাংশ। আর মাদ্রাসায় (আলীম) পাশের হার শতকরা ৯৪.৪৯ শতাংশ। সেইসঙ্গে এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় পাশের হার শতকরা ৮৫.৬৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে এইচএসসি ও সমমানের প্রকাশিত ফল পর্যালোচনায় এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় মোট এক হাজার ৫৪ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। যার মধ্যে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪৬ জন পরীক্ষার্থী। এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন। আর আলীম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ জন।
এইচএসসিতে পাশের হার শতকরা ৭৬.৯৪ শতাংশ। আলীম পরীক্ষায় পাশের হার শতকরা ৯৪.৪৯ শতাংশ। এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় পাশের হার শতকরা ৮৫.৬৪ শতাংশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইউনুছ ফারুকী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষায় এ বছর নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে ২২ হাজার ৩৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। যার মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭ হাজার ১৯১ জন, পাশের হার শতকরা ৭৬.৯৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪৬ জন পরীক্ষার্থী।
আলীম পরীক্ষায় এ বছর পরীক্ষা দিয়েছে ৮৯০ জন। যার মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৪১ জন। পাশের হার শতকরা ৯৪.৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ জন। সেইসঙ্গে এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এ বছর অংশগ্রহণ করেছে ৬২০ জন। যার মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৩১ জন। পাশের হার শতকরা ৮৫.৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন।
এদিকে, গত বছর নারায়ণগঞ্জে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল মোট ৫৫৬ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর এইচএসসিতে পাশের হার ছিল শতকরা ৮১.৩৭ শতাংশ। আলীম পরীক্ষায় পাশের হার ছিল শতকরা ৯০.৫৯ শতাংশ। এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় পাসের হার ছিল শতকরা ৯০.৯৪ শতাংশ।
বিডি প্রতিদিন/কেএ