অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শাহনাজ কামরুন নাহারের (২৫) লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়া স্বামীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) নগরের পাঁচলাইশ থানায় নিহতের বড় ভাই মো. শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই গৃহবধূর স্বামী আল ফায়াদ চৌধুরীর বাড়ি পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকায়। নগরীর কসমোপলিটন আবাসিক এলাকার ৫ নং সড়কের কাইয়ুম রেসিডেন্সের চতুর্থ তলায় বসবাস করেন তারা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার আরিফ হোসেন বলেন, শাহনাজ কামরুন নাহার (২৫) নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাকে তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো বলে শুনেছি। যার কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। মূলত আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগেই মামলাটি করেছেন তার ভাই। আমরা ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।
মামলার বাদী শাহনেওয়াজ বলেন, বিয়ের পর থেকে ফ্রিজ, টিভি, আসবাবপত্রসহ নানা কিছু যৌতুক হিসেবে দিয়েছি। কিন্তু আমরা যেটাই দেই না কেন, তাদের তা পছন্দ হয় না। এগুলো নিয়ে সবসময় আমার বোনকে খোঁটা দেওয়া হতো। বিভিন্ন রকম মানসিক নির্যাতন করা হতো। পান থেকে চুন খসলেই তার গায়ে হাত তুলতো। ঘরের ছোটখাটো কাজেও ভুল ধরে অত্যাচার করতো।
তিনি বলেন, আমার বোনের সঙ্গে ওইদিন রাত ১টা পর্যন্ত আমি কথা বলেছি। এরআগে তার স্বামী আমাকে কল দিয়ে বিচার দিয়েছে। আমি বোনের সঙ্গে কথা বলার পর দেড়টার দিকে তার শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন, সে অজ্ঞান হয়ে গেছে। এটা নিশ্চিত হত্যা!
বিডি প্রতিদিন/নাজিম