দেশীয় শোবিজের অড্রে হেপবার্ন আশনা হাবিব ভাবনা। সম্প্রতি দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এ অভিনেত্রী। এরমধ্যে হিমু আকরামের ‘আলতাবানু কখনো জোছনা দেখেনি’ ছবিতে ভারতের স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের শরীফুল রাজের সঙ্গী হয়েছেন তিনি। জুলেখা চরিত্রে রূপদান করা এ তারকার সঙ্গে কথোপকথন-
ওপার বাংলার স্বস্তিকা এবং এপারের রাজের সঙ্গে কাজ...
‘আলতাবানু কখনো জোছনা দেখেনি’ ছবিতে প্রথমবারের মতো রাজ ও ভারতের স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ হবে। দুজনই আমার পছন্দের শিল্পী। স্বস্তিকা মুখার্জির কাজ আমার ভীষণ পছন্দ, তিনি আমার খুব প্রিয় একজন অভিনেত্রী। যদিও রাজের সঙ্গে আমার তেমন করে জানাশোনা নেই, তবে ‘হাওয়া’ ছবিতে রাজের অভিনয় ভালো লেগেছে। তাই সব মিলিয়ে আশা করছি, ভালো একটি কাজ হবে।
নির্মাতা হিমু আকরামের এ ছবিতে কাজ করতে রাজি হওয়ার মূল কারণ কী ছিল?
মূলত ছবির গল্প, সঙ্গে আমার চরিত্র- দুটিই ভালো লেগেছে। প্রায় দুই মাস ধরে ছবিটিতে কাজের ব্যাপারে হিমু আকরামের সঙ্গে আমার কথাবার্তা চলছিল। এরপর সিদ্ধান্ত নিই যে ছবিটিতে কাজ করব। তারপর চুক্তিবদ্ধ হই।
ছবিটির গল্প কেমন? আর আপনার চরিত্র?
গল্পের প্রেক্ষাপট জানালে মানুষের আগ্রহ চলে যায়। তাই এটা এখনই না বলি। তবে আমি সাধারণত যে ধরনের গল্প, চরিত্র পছন্দ করি, সেই ছাপ এখানে আছে। আর আমার চরিত্রের নাম জুলেখা। একটি সংগ্রামী চরিত্র। আর এ ধরনের চরিত্র আমার পছন্দ। অভিনয়টা করা বা দেখানোর সুযোগ থাকে এ ধরনের চরিত্রে।
কিছু ছবির কাজ শুরু করেছিলেন, সেগুলোর আপডেট কী?
হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ‘যাপিত জীবন’ করেছি। মুক্তির অপেক্ষায় এটি। এ ছাড়া রাইসুল ইসলাম অনিকের ‘চারুলতা’র শুটিং করেছিলাম দুই থেকে তিন দিন। পুরো কাজই বাকি আছে। আর জাফর ফিরোজ পরিচালিত ‘জেনুবিয়া’র শুটিং শুরু হবে মালয়েশিয়াতে, ডিসেম্বরের শুরুতে।
সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছবি এঁকে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন...
আবু সাঈদের ছবি এঁকে প্রতিবাদ করেছিলাম। সেটা ১৭ তারিখে। আমিই সবার আগে ছবিটা এঁকেছিলাম। যে সময় অনেককেই দেখিনি প্রতিবাদ করতে। যদিও সবার প্রতিবাদের ভাষা এক না। সবার নিজস্বতা আছে। আমি যেহেতু একজন শিল্পী আমি ছবি আর্ট করে কিংবা লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছি। আসলে যে ঘটনা আমাকে নাড়া দেয় সেটা নিয়ে আমি অবশ্যই কথা বলার চেষ্টা করি।