তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুলি করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সহিংসতা-সংঘাতে হতাহতের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। শুধু তাই নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে যারা আইন ভেঙেছে, অন্যায় করেছে, তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য ছিল না। প্রতিটি মৃত্যু আমাদের বুকের ওপরে ভারী হয়ে আটকে আছে। প্রতিটি মৃত্যুর জন্য আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত, তেমনি দেশ ও দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। হয়তো কোনো একটি তৃতীয় পক্ষ এটার সুবিধা নিচ্ছে। মৃত্যু নিয়ে প্রথম থেকেই অপপ্রচার করা হচ্ছে। এ ক্ষতির যেমন আপনারা একটা অংশ, আমরাও একটা অংশ। আপনারা যেমন এটার বিচার চান, আমরাও এটার বিচার চাই। একই সঙ্গে প্রতিটি দায়ী ব্যক্তিকে আমরা বিচারের মুখোমুখি করব। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও অন্যান্য যারা আছে, কাউকেই গুলি করার পারমিশন দেওয়া ছিল না। সংবিধান ও আইনের অধীনে তাদের কাজ করতে হয়েছে। তাই বলে আমি এটা অস্বীকার করছি না, ক্ষেত্র বিশেষে কেউ কেউ আইন ভাঙেনি অন দ্য গ্রাউন্ডে। আমরা এটা তদন্ত করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনব। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রেও ঘটেছে, আপনারা দেখেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেকেই আইন ভাঙে। সরকার থেকে তো তাদের আইন ভাঙার নির্দেশ দেয় না। কিন্তু তারা এ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। আমাদের দায়িত্ব হলো, যারা আইন ভেঙেছে, অন্যায় করেছে, তদন্ত করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, সহিংসতায় যা হয়েছে, সেটা দেশ-জাতির জন্য, বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক, মন্তব্য করে এ হতাহতের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি, নিন্দা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছে। তারা স্বাধীনভাবে প্রতিটি হতাহতের ঘটনার তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনবে। প্রয়োজনে আমরা বিদেশি এক্সপার্টদের সম্পৃক্ত করব। কারণ হচ্ছে, আমরা এখানে পুরোপুরি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতায় থাকতে চাই।