সেনাবাহিনীকে দেওয়া দুই মাসের বিচারিক ক্ষমতা পুনর্বিবেচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে জেলা বিএনপির আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সাহায্য প্রদান উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে ত্যাগ স্বীকার করছি, মার খাচ্ছি জেলে যাচ্ছি, শুধু এ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে সরিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা এখন সবাই আশাবাদী হয়ে উঠেছি নতুন অন্তর্র্বর্তী সরকার যারা এই জঞ্জালকে দূর করে দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনগণের একটি পার্লামেন্ট তৈরি হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার (বিচারিক ক্ষমতা) দেওয়া হয়েছে। তার মানে এই যে প্রশাসন ল অ্যান্ড অর্ডার মেইনটেইন (আইনশৃঙ্খলা বজায়) করতে পারছে না। আমি মনে করি, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার সেসব এলাকায় দেওয়া দরকার যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু যেসব এলাকা শান্তিপূর্ণ আছে, স্থানীয় রাজনীতিক নেতা-কর্মীরা সব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করছেন সেসব এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমীচীন হবে না, বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করব, তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় নেবেন এবং তারা কখনোই এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না, যা সামগ্রিকভাবে দেশের মানুষের জন্য অসুবিধা হবে। আমি কথাটা স্পষ্ট করে বলছি কারণ এটা বলার দায়িত্ব আমার।’
