রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ১৯৯ মিলিয়ন ডলার, সুদানের খাদ্যাভাবে নিপতিত মানুষের জন্য ৪২৪ মিলিয়ন ডলার, গাজা এবং পশ্চিম তীরের অসহায় মানুষের জন্য ৩৩৬ মিলিয়ন ডলার, সিরিয়াসহ আশপাশের দেশগুলোর গৃহহারা মানুষের কল্যাণসহ সেন্ট্রাল আমেরিকার দেশগুলোর দুর্দশা দূরকল্পে সর্বমোট ২.১ বিলিয়ন ডলারের অনুদান প্রদানের ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। মানবিক বিপর্যয় রোধে এই অর্থ মঞ্জুরির কথা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জাতিসংঘের চলতি ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে সোমবার জানিয়েছেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার এ সংবাদদাতাকে জানান, মোট মঞ্জুরির মধ্যে ৮৭৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংখ্যা, উদ্বাস্তু এবং অভিবাসন ব্যুরোর মাধ্যমে। অবশিষ্ট ১.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে বর্তমান সময়ে কঠিন মানবিক সংকটে নিপতিত এলাকায় ‘মানবিক সহায়তা’ খাতে ইউএসএইডের মাধ্যমে। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিকর খাদ্য এবং মানসিক চিকিৎসা ছাড়াও উদ্বাস্তুদের শিক্ষার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যসব দাতা সংস্থার প্রতিও মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের নোটে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, আবাসন, খাদ্য সংকটের অবসানকল্পে ১৯৯ মিলিয়ন ডলার প্রদান করা হবে। শিশু-কিশোর-তরুণ-তরুণীদের লেখাপড়া এবং দক্ষ শ্রমিক হিসেবে গড়ে ওঠার প্রশিক্ষণকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই মঞ্জুরির মধ্যে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যাতে তারা নিজ বসতভিটায় ফিরে জীবনযাপনে লিপ্ত হতে সক্ষম হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও অবহিত করেন যে, ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ৫৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে মানবিক সংকটে নিপতিত দেশগুলোতে।