জাতিসংঘের পাঁচটি আঞ্চলিক আসনের মধ্যে একটির জন্য সদস্যদের ভোটে ষষ্ঠ স্থানে আসার পর বৈশ্বিক স্বাধীনতা রক্ষায় অভিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে যোগদানে ব্যর্থ হয়েছে সৌদি আরব।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইথিওপিয়া ও কাতার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে তিন বছরের জন্য ১৮টি দেশের মধ্যে ছিল। কিন্তু প্রচারাভিযান গোষ্ঠীগুলো আগে উভয় দেশের অধিকার লঙ্ঘন অভিযোগ আনে। প্রচারাভিযান গ্রুপ রিপ্রিভ বলেছে, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বিষয়গুলোতে সৌদি আরবকে একটি আসন দিতে অস্বীকার করার জন্যই এই ভোটের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘকাল ধরে মোহাম্মদ বিন সালমানের শাসন এমনভাবে কাজ করেছে যেন তার কাছে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্পূর্ণ দায়মুক্তি রয়েছে।তিনি মনে করতেন এই জ্ঞানেই নিরাপদ। কিন্তু সৌদি আরবের অংশীদাররা অন্যভাবে দেখবে।’
ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ফর হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রা ডিরেক্টর টেস ম্যাকইভয় বলেছেন, ‘যখন একটি আসর পছন্দ দেওয়া হয়, তখন রাজ্যগুলো কম যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেয়। মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী শক্তিশালী দেশগুলোর হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করে এবং মানবাধিকারের মূল প্রক্রিয়াগুলোকে তাদের পক্ষে নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়।’
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পাঁচটি শূন্য আসন গেছে সাইপ্রাস, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, কাতার, কোরিয়া এবং থাইল্যান্ডে।
আফ্রিকান অঞ্চলের পাঁচটি শূন্য আসনের জন্য মাত্র পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন যার অর্থ হলো-বেনিন, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, ইথিওপিয়া গাম্বিয়া এবং কেনিয়া আগামী বছর অনুষ্ঠেয় কাউন্সিলে পদ পাবে।
সূত্র : রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত