বিশ্বে শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সম্পর্কিত বিশেষ প্রতিনিধি নাজাত মাল্লা মজিদ।
১০ অক্টোবর প্রদত্ত নাজাত মাল্লা মজিদের তথ্য অনুযায়ী এক বিলিয়নেরও অধিক শিশু অনলাইন এবং অফলাইনে শারীরিক, যৌন এবং মানসিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে, যার অন্যতম হলো শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, নারী শিশুর যৌনাঙ্গচ্ছেদ, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, পাচার, গুণ্ডামি-মাস্তানি, সাইবার বুলিং ইত্যাদি, যা নজীরবিহীন। যুদ্ধ এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামা বিরাজ করা দেশসমূহের আরো অগণিত শিশু খাদ্যাভাবে অসহনীয় জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে-যা তাদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে।
সারাবিশ্বের তথ্য-সমন্বয়ের পর প্রকাশিত ঐ গবেষণা-প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে করা মন্তব্যে নাজাত মজিদ আরো উল্লেখ করেছেন, সহিংসতায় নিপতিত শিশুর অধিকাংশই এখনো উচ্চ ঝুঁকিতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রতি ৬ জনের একজন শিশুই দিনাতিপাত করছে যুদ্ধ-পরিস্থিতির মধ্যে। এসব কারণে বর্তমান পরিস্থিতিকে ভয়ংকর এক ক্রান্তিকাল হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। বলা যেতে পারে ‘কোন দেশই রোগমুক্ত নয় ; কোন শিশুই রোগ প্রতিরোধক নয়।’
জাতিসংঘের এই গবেষণা-তথ্য অনুযায়ী ৫ বছরের কম বয়েসী প্রায় ৪০০ মিলিয়ন তথা ৪০ কোটি শিশু প্রতিনিয়ত মানসিক-আগ্রাসন এবং দৈহিক আক্রমণের শিকার হচ্ছে নিজের বাড়িতেই।
উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস’র আলোকে ইউনিসেফ এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেখানে আরো ভয়ংকর তথ্য রয়েছে যে, ১৮ বছর বয়স হবার আগেই ৩৭ কোটি নারী তথা বিশ্বের প্রতি ৮ জন নারীর একজনই ধর্ষণ অথবা যৌন হামলার ভিকটিম। অনলাইনে কিংবা চলতি পথে আকারে-ইঙ্গিতে লাঞ্ছিত হয়েছেন এমন তরুণী-নারীর সংখ্যাও ৬৫ কোটির মত।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল