যদি কোনো শিশু কার্পেটের ওপর বা এজাতীয় অন্য কিছুর ওপর পেশাব করে দেয় তাহলে নাপাকি দূর করার জন্য স্পঞ্জ বা ন্যাকড়া ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে প্রথমে পেশাব শুকিয়ে নেওয়া হবে। এরপর সেটা পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। কার্পেটের ওপর তিনবার পানি দিতে হবে।
কেউ কেউ বলেছেন, কাজটি কয়েকবার করবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না নাপাক দূর হওয়ার প্রবল ধারণা হয়। এভাবে করাটা গোটা কার্পেটে পানি ঢালার তুলনায় সহজ। এ ক্ষেত্রে শুধু নাপাকির স্থানে পানি ঢাললেই যথেষ্ট হবে।
প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, চাটাই, বড় শতরঞ্জি, কার্পেট বা এ ধরনের কোনো বিছানাপত্র, যা নিংড়ানো যায় না, তার ওপর যদি নাপাকি লাগে, তাহলে তা পাক করার নিয়ম হলো, তার ওপর তিনবার পানি ঢালতে হবে।
প্রতিবার পানি ঢালার পর শুকাতে হবে। শুকানোর অর্থ হলো, তার ওপর কিছু রাখলে তা ভিজবে না।
শায়খ উসাইমিন (রহ.)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, বড় কার্পেট পবিত্র করার পদ্ধতি কী? নাপাকির দৃশ্যমান অবয়ব দূর করার পর নাপাকি ধৌত করার ক্ষেত্রে নিংড়ানো কি আবশ্যক?
উত্তরে তিনি বলেন, ‘বড় কার্পেটগুলোর নাপাকি ধৌত করার পদ্ধতি : প্রথমে নাপাকির অবয়ব দূর করতে হবে; যদি এর কোনো কাঠামো থাকে। যদি এটি শুকনা হয় তাহলে তুলে ফেলবে।
আর যদি পেশাবের মতো তরল কিছু হয় তাহলে স্পঞ্জে চুষিয়ে সেটাকে দূর করবে। এরপর এ জায়গার ওপর পানি ঢালবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না অনুমান হয় যে পেশাবের আলামত কিংবা নাপাকি দূর হয়েছে। পেশাবের ক্ষেত্রে দুই বা তিনবার করলেই এটি হয়ে যায়। নিংড়ানো আবশ্যক নয়। তবে যদি না নিংড়ালে নাপাকি দূর না হয় তাহলে ভিন্ন কথা। যেমন—নাপাকি যদি কোনো জিনিসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যায় এবং নিংড়ানো ছাড়া এর ভেতরের অংশ পরিষ্কার করা না যায় সে ক্ষেত্রে নিংড়াতে হবে।’ (ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব)
আর যদি নাপাকি পাকা মেঝের ওপরে হয় তাহলে তো বিষয়টি সহজ। কেননা মেঝের ভেতরে নাপাকি ঢোকে না। তাই আপনি যদি ভেজা কাপড় কিংবা ন্যাকড়া দিয়ে পরিষ্কার করেন, সঙ্গে পানি ঢালেন এবং কয়েকবার পরিষ্কার করেন তাহলে পবিত্র হওয়ার জন্য এটি যথেষ্ট। তবে শর্ত হলো, নাপাকির রং ও গন্ধের আলামত দূর হতে হবে।
আল্লাহই সব বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।