সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরুতে এমন পরিস্থিতি ছিল না। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কীভাবে সহিংস রূপ নিল? এই আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে। এই সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সৃষ্ট। দেশের এ পরিস্থিতি যারা তৈরি করেছেন সমাধান তাদেরই দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের রাজপথ থেকে ফিরিয়ে আনতেই হবে। তাদের সঙ্গে আপস করে হোক, আর বুঝিয়েই হোক। নমনীয় হতে হবে নীতিনির্ধারকদের। আর শিক্ষকদের এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। দোষারোপের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে খোলা মনে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে নীতিনির্ধারকদের। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, আন্দোলনকারীদের শুরুর দিকে ডেকে নিয়ে কেন বোঝানো হলো না? দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করা বা দেখছি বলেও তো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেত। সেটি না করে উসকানি কারা দিল?
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরুর পর সহিংসতা হয়েছে। মেট্রোরেল, বিটিভি, সেতু ভবনসহ রাষ্ট্রীয় অনেক সম্পদ ভাঙচুর ও বিনষ্ট করা হলো। বড় একটি সময় নিয়ে তা-বলীলা চলেছে। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী করেছে? তারা হয়তো তখন ছাত্রদের ঘেরাও করে ছিল। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থামানোর চেয়ে তো এই ভাঙচুর, তান্ডব থামানো জরুরি ছিল। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকে আসতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আগুন নেভানোর প্রযুক্তি তো রয়েছে আমাদের। এটি ব্যবহার করা হলো না কেন? যেসব ভবন, প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, তান্ডব হয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তারা কী করেছেন? তাদের জবাবদিহিতা নেই কেন?