অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনের সংঘাতে হামলা হয়েছে গণমাধ্যমের ওপর। জাতীয় দৈনিক দেশ রূপান্তর ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের এক দফা কর্মসূচি চলাকালে গতকাল কারওয়ান বাজার ও বাংলামোটরে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিকদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গণমাধ্যমের গাড়ি ও ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরাও।
গতকাল বিকালে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে অজ্ঞাতনামা একদল লোক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটে। তারা ভবনটির নিচ তলার কাচের দরজা ও কাচের প্যানেল ভেঙে ফেলে। প্রায় ৪৫ মিনিট পর অজ্ঞাতনামা দলটি এ এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এর আগে বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারের চতুর্থ তলায় দেশ রূপান্তর কার্যালয়ে হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল কর্মসূচি চলার সময় একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হাবিব রহমানের ওপরও হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। রাজধানীর রামপুরা সংলগ্ন হাতিরঝিল এলাকায় দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ করে তারা একাত্তর টিভির গাড়ি ভাঙচুর করেন। উত্তরায় এটিএন নিউজের রিপোর্টার সাব্বির ও তার ক্যামেরাপারসনের ওপর হামলা হয়। পোস্তগোলায় মাইটিভির এক রিপোর্টারের ওপর হামলা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার শামীমা সুলতানা এবং তার ক্যামেরাপারসনের ওপর হামলা হয়। প্রেস ক্লাব এলাকায় দৈনিক আমাদের সময়ের চিফ ফটো জার্নালিস্ট মেহেরাজ এবং আজকের দৈনিকের নূর হোসেন পিপুল আহত হয়েছেন। সাংবাদিকদের ওপর হামলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের খবর দেশবাসী এবং বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন সাংবাদিকরা। পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করুন। সংঘর্ষ, সংঘাতের সময় তাদের রক্ষা করুন। আমাদের এই লড়াইয়ে তারাও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’