পাকিস্তানেও এবার ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভের মুখে গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটের। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সূত্র : জিও নিউজ, ডন, রয়টার্স।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে সরকার পতনের আলটিমেটাম দিয়েছে পাকিস্তান স্টুডেন্ট ফেডারেশন (পিএসএফ)। ছাত্র সংগঠনটি বলেছে, তারা দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এ আন্দোলন শুরু করেছে। ৩০ আগস্টের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে গণঅভ্যুত্থানের জন্য সারা পাকিস্তানে বিক্ষোভ শুরু হবে। এই বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত আইএসএফ খাইবার পাখতুনখোয়া সভাপতি আশফাক মারওয়াত গতকাল পেশোয়ার প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশে ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটি মৌলিক সমস্যা হিসেবে রয়েছে। এ অবস্থায় দেশজুড়ে নিপীড়িত মানুষের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতাকে অন্যায়ভাবে এক বছর ধরে কারারুদ্ধ করা হয়েছে এবং কোনো সুষ্ঠু কারণ ছাড়াই অগণিত ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মীকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। এমন অবস্থায় ছাত্র আন্দোলন শুরু করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না। শিগগিরই একটি অ্যাকশন কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংবিধান ও আইনের কাঠামোর অধীনে কাজ করবে।
এদিকে এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানজুড়ে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে নেট ব্যবহারে বিঘ্নের মুখে পড়েছেন ব্যবহারকারীরা। কোথাও ইন্টারনেট বন্ধও করা হয়েছে। আবার কোথাও খোলা থাকলেও গতি অনেক কম। বিষয়টি নিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহকারীরা কিছুই বলতে পারছে না। মুখ খুলছেন না পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ)। দেশটির হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা জানান, পাকিস্তানজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে বার্তা পাঠাতে কিংবা কোনো কনটেন্ট আপলোড ও ডাউনলোড করতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। অনেক সময় সেটাও করা যাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিঘ্ন ঘটানোর মাধ্যমে সরকার শুধু যোগাযোগেই ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে না, মৌলিক অধিকারও লঙ্ঘন করছে। সেই সঙ্গে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি লঙ্ঘিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, দেশটির বর্তমান সরকারের হাতে আর মাত্র দুই মাস রয়েছে। এর বেশি দিন এরা টিকবে না। প্রবল আন্দোলনে সরকারের পতন হবে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান টুডে ও সামা টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী ইমরান খান বলেন, ‘আমি কারাগারে থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করছি, সরকার কাদার মধ্যে পড়ে গেছে। আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না।