বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ফাহিম হাসানের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবা-মাসহ তাকে সরকারি খরচে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। পরিবারটির সেখানকার বিভিন্ন খরচ বাবদ বৈষম্যবিরোধী কল্যাণ তহবিল থেকে এককালীন ৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ফাহিম হাসানের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তার বাবা-মাসহ তাকে সরকারি খরচে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ছাড়াও তাদের খাবার, বাসস্থান, অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ও চিকিৎসা বাবদ বৈষম্যবিরোধী কল্যাণ তহবিল থেকে দেওয়া হয় এককালীন ৮ লাখ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী ফাহিম ও তার পরিবারের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বিমান ভাড়া মওকুফের পাশাপাশি যাতায়াতের সুবিধার্থে রিটার্ন টিকিটসহ সাতটি বিমান টিকিট দিয়ে সহায়তা করেছেন। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী মো. আবু বকর ছিদ্দিক ও খোকন চন্দ্র বর্মণকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশে চিকিৎসা সম্ভব নয় এমন আহতদের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোকে বলা হয়েছে। এ ধরনের আহতদের শনাক্ত করা গেলে প্রয়োজন সাপেক্ষে তাদেরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত মো. আবদুর রশিদকে চিকিৎসাসহায়তা বাবদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কল্যাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যেসব ব্যক্তি চোখে আঘাত পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেবা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা শিগগিরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম নিয়ে বাংলাদেশে আসবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।