যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশের সীমান্ত রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, বিএসএফের চাইতে বিজিবি কোনো অংশে কম নয়। সীমান্তে পিঠ দেখাবে না বিজিবি। বিজিবির পক্ষ থেকে আশ্বাস-নিশ্চিত করছি, সীমান্ত রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। নিয়মনীতির বাইরে আমরা বিএসএফ বা ভারতকে ছাড় দেব না। সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে গতকাল বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন বিজিবি ডিজি। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি ডিজি বলেন, আমি সীমান্ত ও বিজিবির প্রেক্ষাপট থেকে বলতে পারি, সীমান্তে যারা মাইনরিটি আছেন তারা চলে যেতে পারেন- এ ধরনের অপপ্রচার অতিরঞ্জিত প্রচার করা হচ্ছিল। সে সময় বিএসএফ তাদের ক্যাম্পগুলোতে জনবল বাড়িয়েছে। তাদের অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের (ভারতের) সেনাবাহিনী আসার কথা নয়, কিন্তু সে সময়ে আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ির মুভমেন্ট সে পর্যন্ত দেখেছি, যেখানে তাদের আসার কথা না। তিনি আরও বলেন, হয়তো তারা শঙ্কায় ছিল যে বড় সংখ্যক একটা অংশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায় কি না। আমরা এটার লিখিত ও মৌখিক প্রতিবাদ করেছি। পরবর্তী সময়ে ডিজি পর্যায়ে বিএসএফের সঙ্গে যে বৈঠক হবে সেখানে উত্থাপন করা হবে। তবে তারা (বিএসএফ) জানিয়েছে- তাদের সেনাবাহিনী সেখানে ছিল না। তবে তারা নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। তারা নানানভাবে এদিকে খেয়াল রাখার চেষ্টা করছে। আমাদের দেশের কিছু কিছু অপরাধী চক্র বিএসএফকে তথ্য দিচ্ছে দাবি করে বিজিবি ডিজি বলেন, আমরা এমন কয়েকজনকে শনাক্ত করে এনটিএমসির মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করেছি। বাংলাদেশি এক কৃষককে বিএসএফ সদস্যদের দাওয়া প্রসঙ্গে বিজিবি ডিজি বলেন, বিএসএফ সদস্য একজন কৃষককে ধাওয়া করে বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করেন। এক্ষেত্রে ওই বিএসএফ সদস্য ভুল স্বীকার করেন, তাহলেও কিছু নিয়মনীতি আছে। আটক ব্যক্তি কোনো ধরনের ক্ষতি করবে না বলে যদি জানান তাহলে বিওপি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে তাকে ফেরত দেওয়ার বিধান রয়েছে।
তবে বিষয়টি সিরিয়াসলি নিয়েছেন জানিয়ে বিজিবি ডিজি বলেন, কিছুদিন আগে কুলাউড়ায় স্বর্ণা দাস, ঠাকুরগাঁয়ে জয়ন্ত মারা গেছে সীমান্তে, যারা সাবালকই নয়। তাহলে তাদের হত্যা করতে হবে কেন? তারা তো নিরস্ত্রও ছিল। এ দুটি ঘটনার পরই ওই বিএসএফ সদস্য ঢুকে পড়লে আমরা আটক করি। আমরা বলেছি, বিওপি পর্যায়ের বৈঠকে আমরা ফেরত দেব না। ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তাবেও আমরা বলেছি হবে না, সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক করে তাকে ফেরত দিয়েছি।