অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ও সড়ক সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশ থেকে অনেক টাকা পাচার গেয়ে গেছে। দেশের বাহিরে চলে গেছে টাকা। আমাদের আর কোনো ব্যবসায়ী বা কারও প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই। দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। আমাদের ৪ হাজার এমসি গ্যাস দরকার। সেখানে আমরা ৩ হাজার এমসি গ্যাস পাচ্ছি। প্রয়োজনে আমাদের গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। এটার জন্য প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় হয়।
রবিবার সকালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট কুপ) সোনাইমুড়ী ওয়াসেকপুর এলাকার অম্বরনগর গ্রামে কুপ খনন কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বাসা-বাড়িতে গ্যাস সরবরাহের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া কথা একটি মিথ্যা আশ্বাস। গ্যাসের পাইপ লাইন দেওয়া গেলেও গ্যাস দেওয়া যাবে না। তবে ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে তখন এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে। বিবিয়ানার পরে এখনো দেশে পর্যাপ্ত পরিমান গ্যাসকূপ পাওয়া যায়নি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে লুটপাট হয়েছে এটা আপনারা সবাই জানেন। অন্তর্বর্তী সরকারে থেকে আমরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকব। আমাদের অনুসরণ করে আমাদের সচিবরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন।
তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, কেউ দুর্নীতি করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবো। আমাদের জানাবেন।
তিনি বলেন, এখন কোনো দল নেই। কাউকে খুশি করার জন্য এই সরকার আসেনি। আন্দোলনে ২০ হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করতো। এখন আর সরকার করে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকেন। তারা গ্রাহক ও যারা এলপি গ্যাস আমাদানি করে থাকে তাদের সাথে কথা বলে বোতলজাত গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে।
এসময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মো.আবদুল্লাহ আল ফারুকসহ বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশসন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি দুপুরে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং নোয়াখালী সার্কিট হাউজে মতবিনিময় করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল