শিক্ষকদের ছয় দফা দাবি এবং শিক্ষার্থীদের এগার দফা দাবিতে স্থবির হয়ে পড়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম।
বুধবারও ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের মূল গেটে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন কার্যকরী উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে দাবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
সূত্র জানায়, গভীর রাতে শিক্ষকের বাসায় হামলার রহস্য উৎঘাটন করে দ্রুত দোষীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা, ১আগস্ট ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের বিচার, শিক্ষক লাঞ্ছনায় অভিযুক্ত শিক্ষক এম. শরীফুল করীমকে সকল পদ থেকে অব্যাহতিসহ ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে গত চার দিন ধরে টানা আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষকরা।
এদিকে ক্লাস পরীক্ষা চালুর দাবিসহ ১১ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন করে আসছেন। ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানো হয়। এতে প্রশাসনিক ভবনে অবস্থানরত উপাচার্যসহ শিক্ষকরাও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
এই সংকট নিরসনে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই বলেও দাবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা দাবি নিয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বললে শিক্ষকরা উপাচার্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেন, আবার উপাচার্যের কাছে দাবি নিয়ে গেলে উপাচার্য শিক্ষকদের উপর দোষ চাপিয়ে দেন। তবে ক্লাস পরীক্ষা চালুর ব্যাপারে কার্যকরী কোন উদ্যোগ নিতে প্রশাসনকে আগ্রহী দেখা যায়নি বলেও জানান কয়েকজন শিক্ষার্থী। রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপাচার্যের সাথে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সভা চলছিলো।
সংকট নিরসনে প্রশাসনের ভূমিকা প্রসঙ্গে বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আশরাফ বলেন, ‘আমি শিক্ষক সমিতিকে ক্লাসে ফিরে আসার জন্য আহবান জানিয়েছি। এখন সভা চলছে,পরে বিস্তারিত বলা যাবে। ’