'অটিজম কোনো মানসিক রোগ নয়, মস্তিষ্কের একটি বিকাশগত সমস্যা। যেটা একটা শিশুর তিন বছরের মধ্যেই প্রকাশ পায়। সুস্থ এবং অটিজম বাচ্চা ও তাদের মাকে নিয়ে গবেষণা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিলে অটিজম বাচ্চা জন্মানো কমে আসবে।'
বিশ্ব অটিজম দিবস উপলক্ষে আজ রবিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘স্বকীয়তা ও আত্ম-প্রত্যয়ের পথে’ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে বিভাগের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এ সেমিনারে অটিজম রোগের কারণ ও রোগমুক্তির উপায় বিষয়ক দুটি প্রবন্ধ আলোচনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আনওয়ারুল হাসান সুফি ও সহকারী অধ্যাপক তানজির আহম্মদ তুষার।
তারা বলেন, অটিজম সম্পর্কে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে স্বাস্থ্য সচেতনতা তেমন নেই বললেই চলে। অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে অটিস্টিক শিশুদের প্রতি অভিভাবক ও সমাজ বৈরি হয়ে ওঠে। অনাদর অবহেলায় বড় হয়ে ওঠে তারা পরিণত হয় সমাজের বোঝা হিসেবে। সমাজের প্রতিটি মানুষকে অটিজম সম্পর্কে জানতে হবে। অটিজম শিশুদের সমাজের একজন মানুষ হিসেবে দেখতে হবে।
অটিজম শিশু চিহ্নিত হওয়ার পর তাদের সাথে পরিবারের সকলকে যত্মবান হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এসময় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নাজমা আফরোজের সভাপতিত্বে অধ্যাপক ড. আনওয়ারুল ও তানজিন আহম্মদ বলেন, ‘অটিজম কোনো মানসিক রোগ নয়, মস্তিষ্কের একটি বিকাশগত সমস্যা যেটা একটা শিশুর তিন বছরের মধ্যেই প্রকাশ পায়। অটিজম সমস্যায় আক্রান্তদের বলা হয় অটিস্টিক শিশু। অটিজম সম্পর্কে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে স্বাস্থ্য সচেতনতা তেমন নেই বললেই চলে। অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে অটিস্টিক শিশুদের প্রতি অভিভাবক ও সমাজ হয়ে ওঠে বৈরি। অনাদর অবহেলায় বড় হয়ে ওঠে তারা পরিণত হয় সমাজের বোঝা হিসেবে। এসময় বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/২ এপ্রিল ২০১৭/এনায়েত করিম