বহিরাগত এক ইভটিজারকে গণধোলাই দিয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সেই ইভটিজারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেসা হলের গলি থেকে আটক করে শাখা ছাত্রলীগের কতিপয় নেতারা। জাকির নামের সেই উক্তত্যকারীর বাসা আশুলিয়ার কাঠগড়ায়।
ফজিলাতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায় ২ মাস যাবত কেউ একজন রাতে জানালার পাশে এসে তাকিয়ে থাকে। প্রথমে মেয়েরা বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও পরে তারা লক্ষ্য করে লোকটি প্রতি রাতে ১১ টার দিক আসে এবং ইচ্ছেমত রাত ৩/৪ টা পর্যন্ত হলের পেছনের জঙ্গলেই অবস্থান করে। সে ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে খারাপ খারাপ ইঙ্গিত করতো। বিগত কয়েক মাস ধরে এই ব্যপারে এত আতঙ্ক কাজ করতো যে মেয়েরা নিজের রুমেই স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে খুব বিব্রতবোধ করতো।
এরপর শনিবার দিবাগত রাত ১.৫৫ দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ নেতা শিহাবকে অবহিত করে ফজিলাতুন্নেসা হলের শিক্ষার্থীরা। শিহাবের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের উপছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এবং সহ- সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সম্প্রসারিত আল বেরুনী হলের সামনে অবস্থিত টিচার্স কোর্য়াটার এবং ফজিলাতুন্নেসা হলের মাঝখানের গলি থেকে তারা উক্তত্যকারীকে ধরে ফেলে। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, “ইভটিজিং এর কথা শোনার পর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সাথে সাথে ফোন দিতে বলি। শনিবার রাতে আমি ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। জাকির নামের উক্তত্যকারী নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়। পরে তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।”
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বলেন, “এত বড় ক্যাম্পাসে প্রশাসনের একার পক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের যেমন দায়িত্ব আছে তেমনি ক্যাম্পাসের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে এগিয়ে আসতে হবে ইভটিজিং প্রতিরোধের জন্যে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।”
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর