জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় দেশের দূর-দুরান্ত থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে জাবিতে আগমন ঘটে ৩ লক্ষাধিক ভর্তিচ্ছুর। আর প্রত্যেকটি ভর্তিচ্ছুর সাথেই অন্তত একজন করে হলেও অভিভাবক। ফলে টানা ১০ দিনের ভর্তি পরীক্ষায় এসব ভর্তিচ্ছু এবং অভিভাবকদের ফেলে যাওয়া আবর্জনায় পুরো ক্যাম্পাস তার স্বাভাবিক চেহারা হারিয়ে ফেলে। যত্রতত্র কাগজের টুকরো, বাদামের খোসা, পানির বোতল, খাবারের প্যাকেট এসব ময়লা আবর্জনায় পুরো ক্যাম্পাস নোংরা হয়ে পড়ে। ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসজুড়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা-অভিযান চালিয়েছে জাবি শাখা ছাত্রলীগ।
‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমরাই পরিচ্ছন্ন রাখবো’ স্লোগানে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এই অভিযানে শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করে। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল ইসলাম। পরে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিষ্কার করে।
উদ্বোধনকালে উপ-উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এ ক্যাম্পাসে বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থী, অভিভাবকের আগমন ঘটেছে। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে। আর এসব ময়লা দূর করে সবুজ ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ছাত্রলীগ যে উদ্যোগ নিয়েছে তা দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত।
এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ভর্তিচ্ছু এবং অভিভাবকদের জন্য ছাত্রলীগের বিভিন্ন সেবামূলক কাজের প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, এছাড়াও জাবি শাখা ছাত্রলীগ ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে যে সকল সেবামূলক কাজ করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ সকল উদ্যোগ ছাত্রলীগকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, ভালো কাজে সর্বদা এগিয়ে থাকাই ছাত্রলীগের ইতিহাস। ভর্তি পরীক্ষায় জাবি ছাত্রলীগ যে সকল ভালো কাজ করেছে তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক।
এছাড়াও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে জাবি ছাত্রলীগকে বেশি বেশি ভালো কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক মো. খালিদ কুদ্দুস, প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন, সহকারি অধ্যাপক আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান প্রমুখ।
উদ্বোধন শেষে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শহীদ মিনার চত্ত্বর থেকে টিএসসি, গ্রন্থাগার, মুরাদ চত্ত্বর হয়ে ট্রান্সপোর্ট, বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিষ্কার করে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
