চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় পরিবহন ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়েনি। চট্টগ্রাম পরিবহন মালিক সমিতির সাথে বৈঠক করে এ ধর্মঘট পরীক্ষার আওতামুক্ত রাখা হয়। এছাড়াও ভর্তিচ্ছুদের জন্য রাখা হয়েছে স্পেশাল বাস সার্ভিস। সচল রয়েছে শাটল ট্রেনও। ফলে তেমন প্রভাব পড়েনি ভর্তি পরীক্ষায়।
সদ্য পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে আজ থেকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন শ্রমিক মালিকরা। এ নিয়ে চবিতে চলমান ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।
তবে গতকাল রাতেই চবি উপাচার্য পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেন। আজ রবিবার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, পরিস্থিতির অবনতি না হলে আগামীকালের পরীক্ষাও নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ভর্তি কমিটির সাথে বৈঠক করে জানানো হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, গতকাল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছে। আজকের পরীক্ষায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ আবেদন করেছিল। সে হিসেবে আগামীকালের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অর্ধেক চলে এসেছে। আমি বিভিন্ন পরীক্ষার হল পরিদর্শন করে দেখেছি সেখানে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এ উপস্থিতি প্রমাণ করে পরীক্ষায় ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি।
শাহাদাৎ নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, আমি বগুড়া থেকে শনিবার রাত সাড়ে আটটায় গাড়িতে উঠেছিলাম। আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রামের অলঙ্কার পৌঁছাই। সেখান থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি দুপুর ১২টায়। এতটুকু পথ আসতে আমার কোনো সমস্যা হয়নি।
কুমিল্লার এক সরকারি কর্মকর্তা আজ সকালে তার মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আসতে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা