রফিকুল ইসলাম। পড়েন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগে। ২১০০ একর ক্যাম্পাসের যে কোনও জায়গায় সাপ আটকা পড়েছে বা সাপের দেখা মিলেছে সেখানেই দেখা মিলবে রফিকের। এ যেন সাপের সাথে তার সখ্যতা। ক্যাম্পাসে প্রায় প্রতিদিনই দেখা মিলছে বিষাক্ত সাপের। অনেকেই রফিককে খবর দেন, আবার অনেকে মেরে ফেলেন।
সাপ উদ্ধার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টেটাস দিয়ে সবাইকে সাপ না মারার অনুরোধ জানান রফিক। এ যেন তার নিত্য দিনের কাজ। আজ বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে বিষাক্ত একটি সাপ উদ্ধার করে সেটির প্রাণ বাঁচান রফিকুল ইসলাম।
রফিক জানান, সকাল ১০ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সহকারী গবেষক ইব্রাহীম আল হায়দার ভাই আমাকে ইনফর্ম করেন রাউজানের গহিরাতে একটি সবুজ বোরা সাপ উদ্ধার করতে হবে। পরে উনাদের সাথে যোগাযোগ করে সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে আসি। উদ্ধার কাজে চবি প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল হাসনাত ও বাপ্পী সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সাপটি এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নেক হাউসে রক্ষিত আছে। সাপটি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে হস্তান্তর করা হবে।
সাপের বর্ণনা- Id: Green Pit Viper
Trimeresurus sp. albolabris / erythrurus বাংলা নাম: সবুজ বোড়া সাপ। কচু সাপ, গাল টাওয়া ইত্যাদি আঞ্চলিক নাম। বিষধর সাপ( Hemotoxin)
সাপ সম্পর্কে রফিক বলেন, এই প্রজাতির সাপ দ্বারা দংশিত হলে প্রাথমিক কার্যক্রম শেষ করে দ্রুতই হাসপাতেলে যাবেন। এক সেকেন্ড ও সময় ব্যায় করবেন না। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১৬ নং ওয়ার্ড।
রফিক বলেন, ছোট ভাই ফারহান বাপ্পি, হায়দার ভাই এবং জান্নাতুল হাসনাত আপুকে বিশেষ করে উনার আত্মীয়দের ঝুঁকি থাকা সত্বেও সাপ না মারার পরামর্শ দেওয়াতে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে উনারা ভূমিকা পালন করেন। এতে অন্তত একটি সাপের প্রাণ বাঁচল। জানিনা দেশে এমন সময় কত জায়গাতে কত সাপের প্রাণ যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ