নতুন প্রজন্মের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে এক নতুন ধারা। এখন অনেকেই সাধারণ বোতলজাত পানির পরিবর্তে খুঁজছেন 'অ্যালকালাইন ওয়াটার'। এই পানির রয়েছে একাধিক উপকারিতা, যা একে বাজারের সাধারণ পানির থেকে আলাদা করে তুলেছে।
কী এই অ্যালকালাইন ওয়াটার?
অ্যালকালাইন ওয়াটারের প্রধান বৈশিষ্ট্য এর পিএইচ (pH) মাত্রা। সাধারণ পানির পিএইচ যেখানে ৭, সেখানে অ্যালকালাইন পানির পিএইচ মাত্রা সাধারণত ৮ থেকে ৯.৫-এর মধ্যে থাকে। এই পানিতে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান মিশ্রিত থাকে, যা একে আরও পুষ্টিকর করে তোলে।
উপকারিতা কী কী?
পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত অ্যালকালাইন পানি পান করার ফলে বিভিন্ন শারীরিক উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে
১. ডিটক্সে সহায়তা: এতে থাকা খনিজ উপাদান শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
২. অ্যাসিডিটি কমায়: হজমের সমস্যা ও অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমাতে পারে এই পানি।
৩. ত্বকে উজ্জ্বলতা: অ্যান্টি-এজিং উপাদান থাকার কারণে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় বলেই দাবি অনেকের।
৪. ফিটনেসের পর উপকারী: শরীরচর্চার পরে শরীরের অ্যাসিড ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
দাম কত?
যেখানে সাধারণ মিনারেল পানির এক লিটারের দাম ৩০ টাকার মধ্যে, সেখানে অ্যালকালাইন পানির দাম পড়তে পারে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত, কোম্পানি ও ব্র্যান্ড অনুযায়ী।
সহজলভ্যতা
এই পানি এখন আর দুর্লভ নয়। বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপারমার্কেট কিংবা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। সব জায়গায়ই মিলছে এই পানি। এমনকি উচ্চ পিএইচ মাত্রার পানি তৈরি করতে সাহায্য করে এমন ওয়াটার ফিল্টারও এখন সহজলভ্য।
চিকিৎসকদের কী মত?
তবে চিকিৎসকদের একাংশের মতে, মানবদেহের ফুসফুস ও কিডনি এমনিতেই শরীরের পিএইচ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। রক্তের স্বাভাবিক পিএইচ ৭.৪। ফলে প্রত্যেকের আলাদা করে অ্যালকালাইন পানি খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কিনা, তা এখনো বিতর্কের বিষয়। তবে কেউ যদি খেয়ে থাকেন, তার কোনও ক্ষতি নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/মুসা