সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বদিউর রহমান বলেছেন, এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীররা সংস্কার পরিষদ নাম দিয়ে টোটাল শাটডাউন করেছে, এটা আমি কখনো পছন্দ করি না। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে আমি অত্যন্ত লজ্জিত। আরেকটা লজ্জার বিষয় হয়ে গেল এতগুলো জ্ঞানী বিসিএস ক্যাডারের অফিসার ছিল, সরকার ছিল, তারা এটা সমাধান করতে পারে নাই।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন টক শোতে এ কথা বলেন তিনি।
নিজের ছাত্রজীবনের একটি ঘটনার উদাহরণ টেনে বদিউর রহমান বলেন, আমি যখন অস্ট্রেলিয়াতে লেখাপড়া করছিলাম, সুপারভাইজর ছিলেন ড. এলান বিসমেন্ট। এটা ১৯৮৮ সালের কথা। কার্টন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে। ওরা স্ট্রাইক করেছে। সেখানে তো প্রফেসর হওয়া বড় জিনিস। ডক্টর লেখে না। কারণ ডক্টর আমাদের দেশে যে রকম গরু-ছাগলে ভরে গেছে সব। গরু-ছাগল এতো নাই বোধহয়, ডক্টর যা হইছে, সেগুলা হয়।
আমি একদিন এলানকে জিজ্ঞেস করলাম, এলান তোমরা তো স্ট্রাইকে। তাহলে আমার পরীক্ষা নিচ্ছো কেন? আমার অ্যাসাইনমেন্ট দেখতেছ কেন? আই ওয়াজ স্টনিস্ট। বললো যে, স্ট্রাইক করতেছি তো আমাদের দাবি-দাওয়ার জন্য। সরকারের সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে নট উইথ মাই টিচিং। নট উইথ মাই স্টুডেন্ট।
আমার স্ট্রাইক করবো। তাতে যদি আমার ছাত্রের লেখাপড়া বন্ধ হয়, অ্যাসাইনমেন্ট বন্ধ হয়, তাহলে বছরের প্রথমে যে আমি একাডেমিক ক্যালেন্ডার দিয়েছি, সেটা কি হবে?
তিনি বলেন, এবারে যে কমপ্লিট শাটডাউন দেখলাম, এটার পেছনে আমি প্রথমে তো নিজে লজ্জিত প্রকাশ করতেছি। দ্বিতীয় আরেকটা লজ্জার বিষয় হয়ে গেল এতগুলো জ্ঞানী বিসিএস ক্যাডারের অফিসার সরকার ছিল, তারা এটা সমাধান করতে পারে নাই। করলো কে? ব্যবসায়ীরা। তাহলে কি ব্যবসায়ীরা মোর পাওয়ারফুল দেন গভমেন্ট?
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত