বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি সহ-সম্পাদক এইচ এম সাইফ আলী খান বলেছেন, সরকার ঘোষিত সময় অনুযায়ী নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ষড়যন্ত্র ততই বাড়ছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন শুধুই একটি নির্বাচন নয়, এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বসহ রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা ফিরে পাওয়ার নির্বাচন। আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচনই সকল সমস্যার সমাধান।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আগামী জাতীয় সংসদ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফ আলী খান বলেন, একটি দেশের প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব গঠিত হয় জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। জনগণের ভোটবিহীন সরকার কখনোই টেকসই বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ কিংবা কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
তিনি বলেন, প্রতিনিধিত্বশীল ও গণতান্ত্রিক সরকারই কেবল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়। একটি দেশের প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব গঠিত হয় জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। জনগণের ভোটবিহীন সরকার কখনোই টেকসই বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ কিংবা কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিনিধিত্বশীল ও গণতান্ত্রিক সরকারই কেবল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়। কারণ, এমন সরকারে থাকে নীতিগত স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যা একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির পূর্বশর্ত। এর বিপরীতে, একচেটিয়া শাসনব্যবস্থা ও গণতন্ত্রহীন অবস্থা দেশকে করে তোলে অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ।
সাইফ আলী খান বলেন, বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে দেখা যায়, যেখানে নেতৃত্ব জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত, সেখানে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেশি। কারণ, এসব দেশে নির্বাচিত সরকার থাকে এবং তারা জনগণের চাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, ‘দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য, জবাবদিহিতামূলক ও সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। এমন সরকারই হবে একটি জাতির ভবিষ্যৎ উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মনজুর রহমান ভূইয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই