সিলেটে এখনো হাত বাড়ালেই মিলছে লুটের পাথর। বিভিন্ন কোয়ারি থেকে লুট করা পাথর গোপনে মজুত করে রেখেছিল লুটপাটকারীরা। এখন যৌথ বাহিনীর অভিযানে বের হয়ে আসছে এসব পাথর। প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে হাজার হাজার ঘনফুট পাথর।
গতকাল বেলা ১১টায় জৈন্তাপুর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালায় টাস্কফোর্স। অভিযানকালে ১৪ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাংলাবাজার ও শ্রীপুর চা-বাগান এলাকায় অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর মজুত করে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স অভিযান চালায়। এ সময় বাংলাবাজার এলাকার কয়েকটি ক্রাশার মিল ও রাঙপানি নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত ২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। এ ছাড়া শ্রীপুর চা-বাগানের পাশে মজুতকৃত আরও প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্বে দেওয়া জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা জানান, গতকাল বাংলাবাজার এলাকা থেকে জব্দকৃত ২ হাজার ঘনফুট ও গেল সপ্তাহে জব্দকৃত সাড়ে ৯ হাজার ঘনফুট পাথর রাঙপানি নদীতে প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। আর শ্রীপুর চা-বাগান এলাকা থেকে জব্দকৃত ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জাফলংয়ের পিয়াইন নদীতে প্রতিস্থাপন করা হবে। লুটকৃত পাথর উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
বিজিবির কমিটি : এদিকে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় বিজিবির নিষ্ক্রিয়তা ও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনেও এমন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাদাপাথর লুটে নিজেদের বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল তা জানতে বিজিবির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদর দপ্তর থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের (সিলেট ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক।