কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ক্যাম্প ছেড়ে রোহিঙ্গাদের অবাধে বাইরে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও র্যাব। গত দুই দিনে বিজিবি ও র্যাবের বিশেষ অভিযানে ২২১ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবি। পরে তাদেরকে স্ব-স্ব ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়। এ সময় তিনজন আশ্রয়দানকারীকেও আটক করা হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা সরকার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে টেকনাফ সদর ও আশপাশের এলাকায় অবাধে ঘোরাফেরা করছে। এ ছাড়া কেউ কেউ ক্যাম্প ছেড়ে ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে। এতে স্থানীয় সামাজিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ক্যাম্পভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য এমন অভিযান নিয়মিত চালানো হবে বলেও বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়। বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ২ বিজিবির সদস্যরা টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী ২০টি সিএনজি, ১৭টি মাহিন্দ্রা ও ২৫টি অটোরিকশায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ১৭১ জন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করে। আটকতদের মধ্যে ৮৮ জন পুরুষ, ৫০ জন নারী এবং ৩৩ জন শিশু রয়েছে। তাদের পরিচয় যাচাই ও প্রয়োজনীয় মুচলেকা গ্রহণের পর সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে র্যাব বাসাবাড়িতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৫০ জনকে আটক করেছে। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পানখালী এলাকায় ৭ অক্টোবর রাতে ৩৭ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের আশ্রয়দানকারী একজন নারীকে আটক করে র্যাব-১৫। এ সময় আটক করা হয়েছে বাড়ির মালিক মোছা. ইয়াছমিন আক্তারকে (৩৪)। এর আগে ৬ অক্টোবর টেকনাফ পৌরসভার একটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে ১৩ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী দুজনকে আটক করে র্যাব।
র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার) আ. ম. ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অভিযানে আটক আশ্রয়দাতারা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার কে কে পাড়ার আবদুল্লাহ (২৭) ও একই এলাকার মো. ফৈয়াজ (৬৫)।