ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি ফেরাতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের চুক্তি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। একই সঙ্গে যুদ্ধের অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন তিনি।
এরদোয়ান তার এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘হামাস-ইসরায়েল আলোচনার ফলস্বরূপ গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বিশেষ করে আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মি. ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি ইসরায়েল সরকারকে যুদ্ধবিরতির পথে আনতে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শন করেছেন।
আলোচনায় ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত তুরস্ক মিসরের রিসোর্ট শহর শার্ম আল-শেখে অনুষ্ঠিত আলোচনায় একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। তারা এই চুক্তির কঠোর বাস্তবায়ন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বলেও জানান এরদোয়ান। মিসরে বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া এই চুক্তির আওতায় গাজায় অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে, যা দুই বছরের বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসানের পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বনেতারাও বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আশা প্রকাশ করেছেন, এই চুক্তি একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের পূর্ব-ভূমিকা হয়ে উঠবে, যা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে নিয়ে যাবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সব বন্দিকে ‘সম্মানজনকভাবে মুক্তি’ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, এই যুদ্ধ একবারে শেষ হতে হবে। তিনি গাজায় অবাধ মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রস আধানম গেব্রেয়াসুস একে ‘টেকসই শান্তির পথে বড় পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেন। তিনি জানান, ডব্লিউএইচও গাজার ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকটে সহায়তা বাড়াতে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পুনর্গঠনে কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি আরো জানান, সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ হলো শান্তি। সূত্র: মিডল ইস্ট আই, রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/এএম