শেরপুর-১ (সদর) আসনে নির্বাচনি জনসংযোগ জমে উঠেছে। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের শফিকুল ইসলাম মাসুদ। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। এ ছাড়া এবি পার্টি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসান ইমাম ওয়াফি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শেরপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেরপুর জেলা কমিটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা ফারুক আহমদ, খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আবদুল হালিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের শেরপুর জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের শেরপুর জেলার আহ্বায়ক আরিফ আহমেদ ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ। সম্ভাব্য সব প্রার্থীই ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ফলে জমে উঠেছে নির্বাচনি আমেজ। মাঠে এবার আওয়ামী লীগ না থাকায় শেরপুর সদর আসনে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে। এ আসনে বিএনপির বড়সড় ভোট ব্যাংক থাকলেও ৪৬ বছরে তাদের প্রার্থী জিততে পারেনি। ফলে রাজত্ব করেছে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াত জোট থেকে দুবার মনোনয়ন দিলেও নানা সমীকরণে প্রার্থী জিততে পারেননি। এবার বিএনপি ভোট ব্যাংক কাজে লাগিয়ে ৪৬ বছরের বন্ধ্যত্ব কাটিয়ে উঠতে চাইছে।
জামায়াতও জিততে মরিয়া।ধারণা পাওয়া গেছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র ২৫ বছর বয়সের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন বিএনপির সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম মাসুদ ২০১৯ সালে অর্ধ লক্ষাধিক ভোট পেয়ে আলোচনায় আসেন। প্রিয়াংকা শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বর্তমান সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ হযরত আলীর কন্যা। আর মাসুদ শেরপুর জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি ছিলেন।
সদরে এবার সব প্রার্থীই বয়সে তরুণ। কোনো সিনিয়র রাজনীতিক প্রার্থী না থাকায় এবারের লড়াই হবে তারুণ্যের।