মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত মশককর্মীদের কার্যক্রম মনিটরিং বৃদ্ধি করায় ডেংগু নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ফলাফল দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
আজ রবিবার ঢাকা উত্তর নগর ভবনে বিদ্যমান ডেংগু পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত “ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া সংলাপ: প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও নিয়ম” শীর্ষক সমন্বয় সভা এবং সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসক একথা বলেন।
ডিএনসিসির প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ডেংগু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৬ হাজার ৮৫০ জন। এ বছরের জুলাই মাসে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৮৪৪ জনে। তবে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, এ সংখ্যাটিও এখনো উদ্বেগজনক।
প্রশাসক জানান, ডিএনসিসি মশককর্মীদের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)-কে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১৫ দিনে রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৭০ জনে।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “ডেংগু নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। আমরা চাই এই কার্যক্রম আরও জোরদার করতে।
প্রশাসক আরো জানান ডেংগু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে একযোগে কাজ করছে ডিএনসিসি।”
সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী উভয়েই আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সবার সহযোগিতা এবং কার্যকর মনিটরিং অব্যাহত থাকলে আসন্ন ডেংগুর ঝুকি সফলভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
সভায় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, বিশেষ কমিটির সদস্যবৃন্দ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ঊর্ধ্বতন কীট নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ও ডিএনসিসির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/মুসা