জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারাই এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখণ্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণি বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না।
শনিবার বিকালে জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন টুকু।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না ,পড়েও না, বিশ্বাসও করে না। এই পিআর এর শর্ত যারা দেয় তাদের চরিত্র ’৪৭ এ দেখেছি, পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছে, পাকিস্তান হওয়ার পর সেখানে বিরোধিতা করে আইয়ুব খানকে মার্শল আনার সুযোগ করে দিয়েছিল, পাকিস্তানে আর গণতন্ত্র আসে নাই, ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছি, সেই স্বাধীনতার সময় পুরো বাংলাদেশের মানুষ একদিকে আর তারা আরেকদিকে স্বাধীনতার বিরোধিতা করলো, মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, আলবদর, আলসামস্ দিয়ে আমাদের উপর নির্যাতন করেছে, আমরা আর সেই পথে হাঁটতে চাই না।
শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপির এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত