গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির গ্রামবিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী টিটুল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল আউয়াল আরজুসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জেলা আমির ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুল করিম সরকার।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাবু বলেন, ‘সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন ইউনিটে কাউন্সিল হচ্ছে। কাউন্সিলের মাধ্যমে আমরা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছি। তবে ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। শুধু হাইকমান্ডের নির্দেশনার অপেক্ষায়।’ এদিকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা দাওয়াতি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোটও চাইছেন। বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলছেন, ১৬ বছরের জেলজুলুম নির্যাতনের শিকার নেতা-কর্মীদের যারা মূল্যায়ন করবেন তাদের দল থেকে মনোয়ন দিতে হবে। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে সৎ, যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা সম্ভব হবে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির গ্রামবিষয়ক সম্পাদক আনিছুজ্জামান খান বাবুর একাধিক সমর্থক জানিয়েছেন, বাবু দীর্ঘদিন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাকে মনোনয়ন দিলে এ আসনটি দলকে উপহার দিতে পারবেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী টিটুল বলেন, ‘আমি পারিবারিকভাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করতে পারব।’
জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল আউয়াল আরজু বলেন, ‘আমি দলকে সুসংগঠিত করেছি। মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।’
জামায়াতে ইসলামীর জেলা সহকারী সেক্রেটারি ফয়সাল কবির রানা বলেন, ‘আমরা প্রার্থী পরিচিতির পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রভিত্তিক গণসংযোগের কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত বরাবরই সমাজসেবার মাধ্যমে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করে। জনগণের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। মূলত জামায়াত এখন গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’