ইসরায়েলের কাছে আরও এক জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শুক্রবার রাতে সর্বশেষ মরদেহটি ইসরায়েলে পৌঁছায়।
হামাস বলেছে, বিধ্বস্ত গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা যেসব জিম্মির মরদেহ এখনও পাওয়া যায়নি, সেগুলো খুঁজে বের করে ফেরত দেওয়া হবে।
শুক্রবার নতুন করে আরেকটি মরদেহ ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
তারা বলেছে, রেডক্রসের মাধ্যমে গাজায় নিরাপত্তা বাহিনীর (ইসরায়েলি) কাছে ফেরত দেওয়া জিম্মির মরদেহবাহী কফিন গ্রহণ করেছে ইসরায়েল।
সর্বশেষ জিম্মির ফেরত পাওয়া মরদেহ এলিয়াহু মার্গালিতের (৭৫) বলে জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
এ নিয়ে মোট ১০ জন জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস। হামাসের কাছে মোট ২৮ জিম্মির মরদেহ থাকার কথা।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের গোয়েন্দা তথ্যানুসারে, এলিয়াহুকে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখেই হত্যা করা হয়েছিল এবং তার মরদেহ কিবুৎজ নির ওজের হর্স স্টেবল থেকে গাজায় অপহরণ করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সামরিক বাহিনী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এ–সংক্রান্ত চুক্তির আওতায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মির সবাইকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরায়েল কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে। গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযানও বন্ধ রেখেছে তারা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত বৃহস্পতিবার আবারও বলেছেন, হামাসের কাছ থেকে সব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করার ব্যাপারে তিনি দৃঢ় অবস্থানে আছেন। তার প্রতিরক্ষামন্ত্রীও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাস এটা করতে না পারলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আবারও যুদ্ধ শুরু করবে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/একেএ