ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে এখনো লেখা আছে বাংলাদেশ-ভারত সফরের সূচি। আগস্ট মাসে প্রতিবেশী দুই দেশের ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলার কথা। কিন্তু এই সফরের বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এখনো সবুজ সংকেত দেয়নি দেশটির ক্রিকেট বোর্ডকে। ফলে এই সিরিজটি মাঠে না গড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিবিসি সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাটিকে ভারত সরকারের স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আশাবাদী দুই দেশের সিরিজ আয়োজনে। গত সোমবার বিসিবির ম্যারাথন বৈঠক শেষে বিসিবি সভাপতি মিডিয়াকে জানিয়েছেন, দুই দেশের বোর্ড সিরিজটি নিয়ে এখনো আলাপ-আলোচনা করছে। শিডিউল অনুযায়ী ১৭ ও ২০ আগস্ট মিরপুরে এবং ২৩ আগস্ট চট্টগ্রামে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা। ২৬ আগস্ট প্রথম টি-২০ চট্টগ্রামে এবং শেষ দুটি টি-২০ ম্যাচ ২৯ ও ৩১ আগস্ট মিরপুরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সিরিজটি যদি শেষ মুুহূর্তে বাতিল হয়ে যায়, তারপরও সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানো নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সব দলেরই অংশগ্রহণের কথা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক ভীষণ শীতল। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে দুই দেশের এতটাই বিরূপ মনোভাব, ক্রিকেট দলকে বাংলাদেশ সফরের জন্য অনুমতি দেবে না ভারত সরকার, বিবিসিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে। অবশ্য বিসিবি নতুন করে তারিখ রি-শিডিউল করার জন্য চিঠি চালাচালি করছে। বিসিবি চাইছে, সিরিজ দুটি পুরোপুরি বাতিল না করে ২০২৬ সালের জুনে আইপিএলের পর যেন রি-শিডিউল করে। অবশ্য সে সময় পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দলের সূচিতে ঠাসা। বিসিবি যে সময়ে সিরিজটি আয়োজন করতে চাইছে, তখন হয়তো একটি গণতান্ত্রিক সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় চলে আসবে। তখন দুই দেশের পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।