গরমে ঝটপট প্রশান্তি পেতে চান? তাহলে নিয়মিত শসা খান। গরমের এ সময় শসা শরীর যেমন ঠান্ডা রাখতে পারে তেমনি দ্রুত এনে দেয় সতেজ অনুভূতিও। নানা ভেষজগুণে ভরপুর শসা। সালাদ হিসেবে এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি যে কোনো তরকারি রান্নাতেও এ সবজি খাবারের স্বাদ বাড়ায়। গরমের এ সময় খাদ্যতালিকায় শসা রাখার অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। আসুন এক নজরে তা জেনে নিই-
১। শসার মধ্যে ক্যালরি কম ও আঁশযুক্ত উপাদান থাকায় এটি ওজন কমাতে ও অন্ত্রের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। শসার ফিসেটিন নামের ফ্ল্যাভোনয়েড আলঝেইমার রোগ বিলম্ব করতে সহায়তা করে।
২। শসায় ভিটামিন কে, সি, এ ও ক্লোরোফিল রয়েছে; যা মূত্রথলির পাথর বের করতে সহায়তা করে। শসার রস শক্তিশালী মূত্রবর্ধক হিসেবে পরিচিত। শসায় আছে সালফার, সিলিকন যৌগ; যা ত্বক ও চুলের বৃদ্ধির জন্য অনেক উপকারী।
৩। শসার ভিটামিন বি ও ইলেকট্রোলাইট গরমে মাথাব্যথার তীব্রতা কমায়। এর সিলিকন ডাই-অক্সাইড সংযোজক টিস্যুগুলো শক্তিশালী করে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, বি১, বি৬, ডি, কে, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে সন্ধির ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় ও হাড় শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৪। শসার রস ডায়াবেটিক রোগীর জন্য সহায়ক। শসা পটাশিয়ামের ভালো উৎস, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। শসা ফ্ল্যাভোনয়েড–সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে।
৫। শসার বিটা ক্যারোটিন শরীরে ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। শসার ইরেপসিন নামের এনজাইম পেটের কৃমি মেরে ফেলতে পারে।
৬। শসায় থাকা লিগানন স্তন, জরায়ু ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এর মধ্যে থাকা আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যেমন ল্যারিকিরসিনল, পিনোরসিনল, সেকোইসোলারিসাইরিনল সব ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
৭। শসায় থাকা খনিজ মস্তিষ্কের সঠিক যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সহায়তা করে। এছাড়া শসার রস চোখের নিচে কুঁচকে ও কালো হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। শসা জিবের সঙ্গে চেপে রাখলে মুখের জীবাণু মেরে ফেলতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
