২১ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:২৪

দুই সপ্তাহ পরও অচলাবস্থা কাটেনি জাবিতে, নতুন কর্মসূচি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ

দুই সপ্তাহ পরও অচলাবস্থা কাটেনি জাবিতে, নতুন কর্মসূচি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার পর পেরিয়ে গেছে ১৫ দিন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমাণ পদক্ষেপ দেখা যায়নি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) খুলে দেয়ার বিষয়ে। 

এদিকে, উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের পাশাপাশি আবাসিক হল খুলে দিয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাসহ তিন দফা দাবিতে আগামী শনিবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারের সমন্বয়ক দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন। 

এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতিতে অনতিবিলম্বে হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ তিনদফা দাবিতে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শনিবার বিকেল তিনটায় বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক, সাবেক শিক্ষার্থী ও গুণীজনদের নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। 

তাদের তিন দফা দাবি হলো, উপাচার্যের প্রত্যক্ষ মদদে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিচার ও মামলাবাজ উপাচার্যের অপসারণ, হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের দেশীয় আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ। 

এদিকে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম এবং তৈরি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী সেশনজট। একই সাথে স্নাতক ও  স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ও ফলাফল স্থগিত থাকায় শিক্ষার্থীরা চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, জাবিতে চলমান সাড়ে ১৪শ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প থেকে শাখা ছাত্রলীগকে ঈদ সেলামির নামে কোটি টাকা প্রদানের অভিযোগ উঠে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে। এতে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলনকারীরা। সেখানে ৫ নভেম্বর আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর শাখা ছাত্রলীগ হামলা করলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরী সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। তবে এই বন্ধের মধ্যেই উপাচার্যের অপসারণ ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। আল্টিমেটাম দেন ২১ নভেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার জন্য। আল্টিমেটাম উপেক্ষা করায় আবারো আন্দোলন শুরু করেছেন তারা।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর