কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই মেধাতালিকায় ১২তম হওয়ার ঘটনায় ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এবং ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসা না পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমানকে আহবায়ক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র মজুমদারকে সদস্য এবং ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হককে সদস্য সচিব করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
উলেখ্য, গত ৮ নভেম্বর বিকেল ০৩ টা থেকে ০৪ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত এক আবেদনকারী মেধাতালিকায় ১২তম হয়। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. সাজ্জাতুল ইসলাম। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার হলে সরবরাহ করা উপস্থিতির তালিকায় স্বাক্ষরের ঘরে সাজ্জাতের স্বাক্ষর নেই। তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। তবে ১২ নভেম্বর প্রকাশিত ‘বি’ ইউনিটের ফলে দেখা যায়, ২০৬০৫০ রোল নম্বরধারী সাজ্জাতুল ইসলাম ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এর মেধাতালিকায় ১২তম স্থান অধিকার করেছেন।
ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েও মেধা তালিকায় ১২তম হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদের মাধ্যমে প্রকাশ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ আহবায়ক কমিটি গঠন করে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন,‘আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্তের কার্যক্রম শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিব।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন