রাজধানীর ধানমন্ডিতে আইডিয়াল কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উপলক্ষে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ দিনভর নানা অনুষ্ঠানে মুখর ছিল সেন্ট্রাল রোডের এ শিক্ষাঙ্গণ। প্রতিষ্ঠানের এ আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার ছিল বাংলাদেশ প্রতিদিন।
আইডিয়াল কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাঁজানো হয় রঙ-বেরঙের নানা বেলুন আর ফেস্টুন দিয়ে। বর্তমান আর সাবেক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে কলেজ প্রাঙ্গণ রূপ নেয় এক মিলনমেলায়।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী আয়োজনে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক জসিম উদ্দীন আহম্মেদ, উপাধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান প্রমুখ। সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ পিন্টু, মাহমুদুল হাসান, রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে স্বরণিকা ‘তরী’র মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এ কলেজ। দেশের জন্মলগ্ন থেকে পথচলা শুরু করে ৫০ বছর পার করছে। তিনি বলেন, নিজেকে বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমাদের সোনার মানুষ হতে হবে। এ কলেজের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জিন্দাবাদের দেশ নয়, এটা জয় বাংলার বাংলাদেশ। অকৃতজ্ঞদের মত, বেইমানের মত জিন্দাবাদের বাংলাদেশ যেন উচ্চারন না করি। জিন্দাবাদকে লাথি মেরে জয় বাংলা এগিয়ে যাবে। এ দেশ যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে কিনে নিয়েছি আমরা।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, আইডিয়াল কলেজের মঙ্গল ও উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবার সহযোগিতায় অনেকদূর এগিয়ে যাবে এ কলেজ।
অনুষ্ঠানে কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য কবীর আহমেদ ভূঁইয়া, মিজবাহুর রহমান ভূঁইয়া রতন, মো. হোসেন হায়দার, জসীম উদ্দিন আহমেদ, আলম তাজ বেগম, ডা. লুৎফুন নেছা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল