শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোনের অতি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তিকে ব্যবহার করবো; প্রযুক্তি যেন আমাদের ব্যবহার না করতে পারে।
জাফর ইকবাল বলেন, যেই দেশে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরা পড়াশুনা করবে, সেই দেশকে পৃথিবীর কেউ ঠেকাতে পারবে না। আমাদের দেশে এখন ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও অনেক দিক থেকে এগিয়ে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এখন মেয়েরাও সফলতা অর্জন করছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে ২০১৯-২০ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শীতের সকালের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে নবীন শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে এসে জমায়েত হন। সেখানে ফুল দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করেন বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন।
কিছুক্ষণ পরেই শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও পরিচিতি পর্ব।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর ইকবাল নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা কী জানো তোমাদের জীবনের সবচেয়ে ভালো সময়টা আজ থেকে শুরু হলো। আজ থেকে তোমরা স্বাধীন। তোমরা নিজেদের মতো পড়তে পারবে, এই সুন্দর ক্যাম্পাসে ঘুরতে পারবে, নাটক করতে পারবে।
ছাত্রজীবনের কথা স্মরণ করে ড. জাফর ইকবাল বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টা ছিল যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতাম। কি চমৎকার একটা বিশ্ববিদ্যালয়। এটা সেই জায়গা যেখানে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম হেঁটে গিয়েছেন। আমি মঞ্চ থেকে দেখে ভাবছিলাম কাজী নজরুল ইসলাম নিজেই হয়তো এই পথে দিয়ে হেঁটে গেছেন। আমি এখন সে পথ দিয়ে হাঁটছি। ভাবতে পারো এটা কত বড় সৌভাগ্য।
নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, তোমরা গ্রামে নয়, খুবই সুন্দর একটা জায়গায় আছো। এখানে নির্মল বাতাস। মন চাইলে বাসে উঠে তুমি ঢাকা যেতে পারবে। এই ক্যাম্পাসে ভর্তি হওয়াতে আমি তোমাদের অভিনন্দন জানাই।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জালাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার দে, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাহাবউদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. সুজন আলী, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাকিবুল হাসান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল হোসেন তোকদার ও স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া আফরিন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত