ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে বিভাগীয় একাডেমিক সভা থেকে তাকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এদিকে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাক এম. এ. এম মনোয়ার আলী পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ পদত্যাগ ও তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সরওয়ার মোর্শেদকে আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান এবং আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি। কমিটির সদস্যদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইসলাম ধর্ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে গেলে তোলপাড় শুরু হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি ও আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেন। তার বিরূদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময় ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকর মন্তব্য ও নারীদেরকে হেয় করার অভিযোগ রয়েছে ।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরে আসলে ৩১ অক্টোবর বিভাগীয় একাডেমিক সভায় প্রশাসনের কাছে বিভাগ থেকে তার ছাত্রত্ব বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করেন।
এ ঘটনার তিনদিন পরে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কারণ দেখিয়ে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাক এম. এ. এম মনোয়ার আলী পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার তিনি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এস এম আব্দুল লতিফের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
এদিকে, বিভাগীয় সভাপতির পদত্যাগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন উঠেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল