অধরা স্বপ্ন সত্য হতে যাচ্ছে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের দুই ভর্তিচ্ছুর। মানোন্নয়নে উত্তীর্ণ হওয়ায় চান্স পেলেও ভর্তি হতে দেয়নি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে স্বপ্ন সফল করতে আদালতে রিট করে সিতাকুন্ডের ফাহিমা আক্তার এবং টাঙ্গাইলের জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন। দীর্ঘ আইনি জটিলতার পরে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এ দুই শিক্ষার্থী ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার অনুমতি পেয়েছেন উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারী ফাহিমা আক্তারকে বিজ্ঞান অনুষদে এবং জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ভর্তির অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।
২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে মেধা তালিকায় স্থান পান ফাহিমা আক্তার এবং জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন। তবে উচ্চমাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়ার কারণে ভর্তি নেয়নি চবি প্রশাসন।
এ দুই শিক্ষার্থী মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিলেও চবিতে প্রথমবারই ভর্তি পরীক্ষা দেন। তবুও ভর্তি হতে পারেননি তারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করেন। আদালতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব শফিক। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি।
হাইকোর্ট রায় দিলেও সেই রায়ের কপি দেখানো সাপেক্ষে ভর্তি হতে পারবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হয়। এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সেই রায়ের কপি নিতে দীর্ঘদিন হাইকোর্ট ঘুরলেও তা সংগ্রহ করতে পারেননি। এদিকে রায়ের কপি আনতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাকিব উদ্দিন চেষ্টা চালান। কয়েকমাসের প্রচেষ্টায় রাকিব উদ্দিন তা নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।
ভর্তির অনুমোদনপ্রাপ্ত ফাহিমা আক্তার বলেন, মেধা তালিকায় স্থান পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারিনি। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি হতে পারবো সে জন্য চেষ্টা করেছি। চবিতে ভর্তির আশায় এতদিন কোথাও ভর্তি হইনি। বিশেষ করে রাকিব উদ্দিন ভাই আমাদের রায়ের কপি আনতে অনেক পরিশ্রম করেছেন। দীর্ঘদিন পর হলেও ভর্তি হতে পারছি অবশ্যই ভালো লাগছে।
জিনাতুল ফেরদৌস বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে চবিতে ভর্তি পরীক্ষা দেই। কিন্তু ভর্তি হতে না পেরে খুব খারাপ লাগছিলো। আব্বু আম্মু অনেক কষ্ট করেছেন। অবশেষে আজ ভর্তির অনুমতি পেলাম। অনেক আনন্দ লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞতা দেরি হলেও তারা আমাদের ভর্তির সুযোগ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে আমরা ওই দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছি। তাদের ভর্তি হতে আর কোনো আইনি বাঁধা নেই।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন