ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলনীতি অনুসরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) এগিয়ে যাচ্ছে। সমিতির সকল সদস্য এই মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে সমুন্নত রাখছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি মিলনায়তনে সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : সাংবাদিকতায় অর্জন ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক বার্ষিক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমিতির ওয়েবসাইট উদ্বোধন, বর্ষসেরা রিপোর্টার পুরস্কার প্রদান করা হয়। একই সাথে ২০২২ সেশনের নবগঠিত কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যকরী পরিষদ-২০২২ নির্বাচনে সভাপতি পদে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশে’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক পদে ডেইলি স্টারের সিরাজুল ইসলাম রুবেল নির্বাচিত হন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, ডুজার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বোরহানুল হক সম্রাট, সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মশিউর রহমান ও আফতাব উদ্দিন মানিকসহ সাংবাদিক সমিতির সাবেক নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও ডাকসু’র সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা’সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত। এ সময় ‘শহীদ চিশতী শাহ হেলালুর রহমান ট্রাস্ট ফান্ড’ ও ‘মনোয়ার আহমেদ ট্রাস্ট ফান্ডে’র অধীনে মোট ছয় জন নবীন সাংবাদিককে ‘ডুজা বর্ষসেরা রিপোর্টার পুরস্কার-২০২১’ প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্থাপনা, প্রাঙ্গণ এবং এর সদস্যদের মাঝে একটি বিশেষ ধরনের মূল্যবোধ রয়েছে। তা হলো ভাষা আন্দোলন ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক মানবিক মূল্যবোধ। ফলশ্রুতিতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি মোট ৬০টি সংগঠনও এই মূল্যবোধকে লালন করে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। এখান থেকেই ইতিহাস ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষক সকলে জাতির বাতিঘর হিসেবে কাজ করছে। এই কাজের ধারা যেন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে সকলের কাছে এই প্রত্যাশা করি।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ এবং এতে আত্মবিসর্জনকারী শহীদ ও ছাত্র-শিক্ষকদের অবদানসহ বিভিন্ন উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের অর্জন প্রদর্শনের জন্য ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি মিউজিয়াম’ নামে এই জাদুঘর তৈরির কথাও জানান উপাচার্য।
অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব সর্বদা ন্যায়নিষ্ঠভাবে পালন করে থাকে, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। আমি আশা করছি, অনাগত দিনগুলোতেও তারা তাদের এই পেশাগত দায়িত্বশীলতা বজায় রেখে কাজ করে যাবে। তাদের লেখনির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যলয়ের নানা ভালো দিকগুলো সামনে আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো সংশোধনের পথ তৈরি হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন