স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন-বাঁধন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ইউনিটের নবীনবরণ ও ২২তম রক্তদাতা সম্মাননা-২০২২ অনুষ্ঠিত করেছে। শনিবার হলের আভ্যন্তরীণ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হল প্রাধাক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁধন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ইউনিটের উপদেষ্টা শিক্ষক মেহেদী হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জোনাল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গালিব আহমেদ শিশির। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাঁধনের হল ইউনিটের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রিপন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. হাবীব উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে নবাগত রক্তদাতাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এছাড়াও দীর্ঘদিন রক্তদানের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ২৯ জন রক্তদাতাকে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিল্লাল হোসেন বলেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে বাঁধনের সাথে আছেন, তাদের অনেক কুসংস্কার দূর হয়ে গেছে। রক্ত দিলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। রক্ত না দিলে পরবর্তী সময়ে তা কাজে লাগে না। শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় এটি এক সময় নষ্ট হয়ে যায় বা পুনরুৎপাদিত হয়। বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও কুসংস্কারের মত আমাদের মধ্যে রাখি বলেই যোগ্যতা, সামর্থ থাকা সত্ত্বেও আমরা রক্ত দিতে উৎসাহ পাই না। অথচ এই রক্ত আমার শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে গিয়ে কীভাবে একজন মানুষের জীবন বাঁচায়, তা বোধ করলেও আমাদের মধ্যে মানবিক বোধ জাগ্রত হবে।
তিনি বলেন, যারা আজকে নবীন হিসেবে যুক্ত হলো, তা নিশ্চয়ই এই বোধ ধারণ করবে। আর যারা সম্মাননা পেলেন, তারাও নিশ্চয়ই যতদিন তাদের সামর্থ্য থাকে, ততদিন এটি অব্যাহত রাখবেন।
উপদেষ্টা শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন, বাঁধনের স্লোগান হলো, ‘একের রক্ত, অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’। এ কথাটার মধ্যে অনেক তাৎপর্য আছে। একজন মানুষ যদি তার সমস্ত সম্পদ নিয়েও ঘুরে কেউ কিন্তু এক ফোঁটা রক্ত বানিয়ে দিতে পারবে না। গবেষণাগারে এখনও কিন্তু রক্ত তৈরি করা যায় না। রক্ত দিলে কোনো ক্ষতি তো হয়ই না, বরং উপকার হয়।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ