গত শুক্রবার জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের সমাধির সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে মারধর করেছিলেন ছাত্রলীগের ছয় কর্মী। তবে ভুক্তভোগীরা মামলা করার উদ্যোগ নিলে তাদের সাথে সমঝোতা করে দুঃখপ্রকাশ করেন তারা। তবে, একদিনের ব্যবধানে তারা জানিয়েছেন, ‘ছাত্রলীগের ব্যানারে নয়, বরং তারা ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন’।
এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার অভিযুক্ত ছয় শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। ছয় শিক্ষার্থী হলেন, তানজির আরাফাত তুষার, হেদায়েতুল ইসলাম, ইত্তেজা হাসান রাকিব, মো. সুমন আলী, আব্দুল্লাহ আল মাসরুর রৌদ্র ও রোকনুজ্জামান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোকনুজ্জামান ছাড়া বাকিরা জসীমউদদীন হল ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও হল সভাপতি ওয়ালিউল সুমন এর অনুসারী। অন্যদিকে, রোকনুজ্জামান স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী। তবে ছাত্রলীগের হল কমিটিতে তাদের কারোরই কোনো পদ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ইত্তেজা হাসান রাকিব বলেন, গত শুক্রবার ‘আমাদের হলের ছোট ভাইকে শাহবাগ থানার পাশে মারধর করা হচ্ছে’ এমন তথ্যেও ভিত্তিতে আমরা শাহবাগ যাই এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে। এতে তাদের দুজন আহত হয়। ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করি এবং ভুল বোঝাবুঝি দূর করে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করি।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু অনলাইন পোর্টালে ‘ছাত্রলীগ বা ছাত্রলীগ কর্মী ক্ষমা চেয়েছে’ শিরোনামে নিউজ করা হয়, যা সত্য ঘটনার সাথে পুরোপুরি সংগতিপূর্ণ নয়। এতে প্রতীয়মান হয় যে, আমাদের ব্যক্তিগত ভুলে সংগঠনকে দায় দেওয়া হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করায় আমরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেছি। মূল ঘটনাটি হলো আমরা সবাই ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং উভয় পক্ষ সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেছি। কারণ আমরা ছাত্রলীগের নির্দেশে সংঘর্ষে জড়াইনি। এমনকি ছাত্রলীগের প্রতিনিধি হিসেবেও দুঃখ প্রকাশ করিনি।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার মেসেঞ্জারে কথোপকথনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের এক শিক্ষার্থীকে থানায় দেওয়া হয়। পরদিন তাকে ছাড়িয়ে আনার সময় মিছিল করা নিয়ে একটি পক্ষের সাথে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এর ঘটনার জেরে শুক্রবার দুপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা সিফাত ও আহনাফের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর