চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক, হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতি বোর্ড বসানো নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কুশল বরণ চক্রবর্তী জুলাইয়ের গণহত্যায় সমর্থন ও উসকানির অভিযোগে পরিচিত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের গণহত্যা নিয়ে দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগও রয়েছে।
তার পদোন্নতির বোর্ড বসায় ক্ষোভে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। একইসাথে উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করেন তারা।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সাড়ে তিনটায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন— ‘বাহ! ভিসি চমৎকার, স্বৈরাচারের পাহারাদার’; ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’।
বেলা ৩টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বোর্ড বসার কথা থাকলেও তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে প্রশাসন।
জানা যায়, গত বছর ২৬ নভেম্বর হেফাজতে ইসলামের কর্মী এনামুল হক চৌধুরী আদালত প্রাঙ্গণে হামলার শিকার হন। এতে তার মাথায় কিরিচের কোপ লাগে এবং ডান হাত ভেঙে যায়। এরপর ৮ ডিসেম্বর তিনি চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন, যেখানে কুশল বরণ চক্রবর্তী ২০তম আসামি।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী উৎস মাহমুদ বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে এই ক্যাম্পাস ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছি। অথচ আজ প্রশাসন উল্টো ফ্যাসিবাদীদের প্রমোশন দিচ্ছে।
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোনায়েম শরীফ বলেন, আজকে দেশবিরোধী অপতৎপরতায় জড়িত কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতির জন্য বোর্ড বসেছে। আমরা এর বিরোধিতা করছি।
উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাউকে বিচার করার এখতিয়ার রাখে না। তবে তদন্ত কমিটি ধীরে কাজ করছে।
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কুশল বরণের বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংবাদপত্রে কিছু সংবেদনশীল নিউজ আসায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভ শেষে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসহাক ভূঁইয়া বলেন, হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি কুশল বরণের বোর্ড বসানো হয়েছিল। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। তার বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল