গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বসতভিটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাই-ভাতিজাদের ধারালো আস্ত্রের আঘাতে আদা চন্দ্র দাস (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের রায়পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আদা চন্দ্র দাস ওই গ্রামের কার্ত্তিক চন্দ্র দাসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত বসতভিটার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বড় ভাই নৃপেন চন্দ্র দাসের সাথে আদা চন্দ্র দাসের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) নৃপেন চন্দ্র দাস ওই বসতভিটায় আদা চন্দ্র দাসের বাড়ির সীমানা ঘেষে একটি টয়লেট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এসময় আদা চন্দ্র দাস বাধা দেয়। এতে দুই ভাইয়ের মধ্যে তুমুল বাগবিতন্ডা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে আদা চন্দ্র দাস বাড়ির সামনে ছাগল চড়াতে যায়। সুযোগবুঝে নৃপেন চন্দ্র দাস ও তার দুই ছেলে শঙ্খরাজ দাস এবং সত্যন্দ্রনাথ দাস তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে কোপাতে শুরু করে। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে চলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় আদা চন্দ্র দাসকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত আদা চন্দ্র দাসের স্ত্রী ঝলমলি দাস বলেন, আমার স্বামীকে তার ভাই-ভাতিজারা পরিকল্পিতভাবে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, আদা চন্দ্র দাসের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম