রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদেন করা হয়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবাইদুর রহমান প্রামানিক, বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে না এলে বাঙালি পিতৃহীন জাতিতে পরিণত হতো। কারণ কেবল বিজয় দিয়েই দেশে পরিপূর্ণতা আসেনি। তার আগমনে জাতি পরিপূর্ণ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাঙালির লোকায়ত দর্শন ধারণ করতেন। এই দর্শনে ছিল সহনশীলতা ও ভালবাসা। এই বৈশিষ্ট্য দিয়েই তিনি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এমনকি ৪৭' সালে ধর্মকে কেন্দ্র করে কৃত্রিম পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কিন্তু জাতিভেদ ভুলে ভাষা ভিত্তিক একটি জাতি গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। যা মহাত্মা গান্ধী ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ থেকে তাকে সতন্ত্র করেছে। এই উদারতা ও ভালবাসায় তাকে বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে হাত দেন বঙ্গবন্ধু। শূন্য হাতে সোনার বাংলা গড়ার কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু সেটা কুচক্রীদের চক্রান্তে সেটা আর সম্ভব হয়নি। তবে সোনার বাংলা বিনির্মাণের সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন তার সুযোগ্য কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনা। যা বাঙালির নিকট আজ দৃশ্যমান। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান উপাচার্য।
জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত