ঢাকা ডেন্টাল কলেজের আয়োজনে ‘এপ্রিসিয়েশন এন্ড সার্টিফেকেট গিভিং সেরিমনি অন টিচিং মেথডলজি এন্ড এসেসমেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ অক্টোবর সকাল ১১টায় ঢাকা ডেন্টাল কলেজ প্রাঙ্গণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের মাঝে সম্মাননা ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা। অনুষ্ঠানটি সার্বিক সহযোগিতা করেছে রেনাটা লিমিটেড।
মেডিকেল শিক্ষা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তোলার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকরা আধুনিক বিষয় সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে এবং পরবর্তীতে তা ছাত্রদের শেখানো হচ্ছে। এভাবে মেডিকেল সেক্টর এগিয়ে চলেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো: টিটো মিঞা তার বক্তব্যে প্রথমেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মেডিকেল শিক্ষায় আমরা বর্তমানে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকলেও আমাদের মূল পরিচয় শিক্ষক হিসাবেই। ভালো লাগার জায়গাও ছাত্রদের শিক্ষা দেয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ। তিনি তার বক্তব্যে শিক্ষকদের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র শিক্ষক সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, সময়ের কাজ সময়ে করার জন্য। আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে না রাখার কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরেক বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মো. জামাল তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষকরা দেশের সবচেয়ে সন্মানিত মানুষ। তিনি ডেন্টাল শিক্ষাকে বিজ্ঞান এবং আর্ট হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডেন্টাল সবচেয়ে ডাইনামিক ক্ষেত্র যেকারনে শিক্ষকরা নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহন অব্যাহত রাখছেন। শিক্ষকদের জন্য আরো বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথাও অনুষ্ঠানে বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক, সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশন অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহিনা সোবহান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রেনাটা লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার তানবীর সাজিব তার বক্তব্যে ডাক্তার ধন্যবাদ জানান। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবং সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সম্মানীত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. কাজী আফজালুর রহমান, অধ্যাপক ডা. আমীর হোসাইন, অধ্যাপক ডা. মো. মোশাররফ হোসেন খন্দকার, ডা. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, ডা. মিসবাহ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মো. হুময়িুন কবির তালুকদার, ডা. মো. জাহাঙ্গীর রশীদ, ডা. এ.এফ. এম. শহিদুর রহমান।
দেড় বছর মেয়াদি এই ট্রেনিং প্রোগ্রামে মোট ১৩৪ জন শিক্ষক অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে অনুষ্ঠানিকভাবে সনদপত্র দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল