২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:২১

ভোলাহাট কলেজে ১৭ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী নেই একজনও

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

ভোলাহাট কলেজে ১৭ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী নেই একজনও

কাগজে-কলমে ১৭ জন শিক্ষক থাকলেও শিক্ষার্থী নেই একজনও। আর ১৮ বছর ধরে কলেজটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরাও বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে গেছে। ফলে প্রায় ৪ বছর ধরে কলেজটির শ্রেণিকক্ষগুলো তালাবদ্ধ থাকায় তালাতেও ধরেছে মরিচা। তবে চলতি এএচএসসি পরীক্ষায় ৫ জন ছাত্র প্রতিষ্ঠানটি থেকে অংশ নিলেও পাস করেছে মাত্র দুজন। ঘটনাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ভোলাহাট কলেজে। জানা গেছে, ২০০৫ সালে ভোলাহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইমামনগর বাজার এলাকায় ভোলাহাট কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে। প্রথমদিকে কলেজটিতে ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও দীর্ঘদিনেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় কলেজের ১৭ জন শিক্ষক জীবন-জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় জড়িয়ে যাওয়ায় কলেজটি বেশ কয়েক বছর থেকে শিক্ষার্থী শূন্যতায় ভুগছে। এমন অবস্থায় প্রায় ৪ বছর ধরে কলেজটির শ্রেণিকক্ষের তালা খোলা হয় না বলে জানান এলাকার মানুষজন। এদিকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় কলেজটি থেকে বাণিজ্য ও সাধারণ শাখা থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে বাণিজ্য শাখা থেকে একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হলেও সাধারণ বিভাগ থেকে ৪ জন অংশ নিয়ে মাত্র একজন পাস  করে।

গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজটি তালাবদ্ধ রয়েছে। আর শ্রেণিকক্ষের তালাগুলোতের মরিচা ধরে রয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৪ বছর ধরে কলেজটি প্রায় বন্ধ রয়েছে। পরে কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ কলেজটিতে এসে এই প্রতিবেদককে বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় কলেজের ১৭ জন শিক্ষক অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন। ফলে কলেজটি এখন বন্ধ রয়েছে। তিনি কলেজটি এমপিওভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহানুভুতি কামনা করেন। অন্যদিকে ভোলাহাট কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা মোবাইল ফোনে বলেন, এ বছর যেসব শিক্ষার্থী এইচএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো তাদের পড়াশোনায় তেমন আগ্রহ ছিলো না। তাই ৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন পাস করেছে এবং বাকি ৩ জন ফেল করেছে।

তিনি আরও বলেন, কলেজটিতে বর্তমানে ১৭ জন শিক্ষক আছেন। কিন্তু এমপিওভুক্ত কলেজ না হওয়ায় এখানে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আগ্রহ খুবই কম। যার কারণে এই কলেজে বেশি শিক্ষার্থী নেই। এই প্রসঙ্গে ভোলাহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তোফিকুল ইসলাম বলেন, কলেজের বিষয় দেখভাল করে রাজশাহী ডাইরেক্টর অফিস ও শিক্ষা বোর্ড। সুতরাং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর