ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে ৩ নম্বর রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
ফণী’র কারণে শনিবারও বন্ধ ছিল পণ্য ওঠানামা, জাহাজ চলাচলসহ সব ধরনের কার্যক্রম।
এর আগে বৃহস্পতিবার জেটিতে অবস্থানরত সব বড় জাহাজ বহির্নোঙরে সরিয়ে নেয়া হয়। ছোট লাইটারেজ জাহাজগুলো কর্ণফুলী শাহ আমানত (র.) সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম অংশে নদীতেই গাদাগাদি করে নোঙর করে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি বন্দরের ক্রেনসহ সব স্থাপনার প্রাথমিক নিরাপদ অবস্থানে রাখা হয়েছে। ফলে গত প্রায় দু'দিন ধরেই বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।
এদিকে ফণী’র কারণে চট্টগ্রাম শাহ আমানত (র.) বিমানবন্দরেও শুক্রবার থেকে সতর্কতা জারি করা হয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিমান সংস্থার ফ্লাইট বাতিলসহ সময়সূচিতেও সাময়িক পরিবর্তন আনা হয়। অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস তিনটি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এ ছাড়া নভোএয়ারের বাতিল করা হয়েছে পাঁচটি ফ্লাইট। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার দু'টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বাতিল করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো.ওমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার থেকে বন্দরের জেটি ও বহির্নোঙরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন জেটিতে অবস্থানরত ২১টি জাহাজকে বহির্নোঙরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বহির্নোঙরে ৬৯টি মাদার ভেসেল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দরকে বৃহস্পতিবার ৬ নম্বর সংকেত দেখাতে বলায় অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয় বন্দরের অভ্যন্তরে।
এদিকে শনিবার আবহাওয়া অধিদফতর ৬ নম্বর থেকে নামিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে ৩ নম্বর সংকেত দেখাতে বলায় বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইক্যুইপমেন্ট মুভমেন্ট শুরু হলেও জেটিতে জাহাজ না থাকায় পণ্য উঠানামা বন্ধ রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন